বিশ্বে বিরল অনন্য শেখ হাসিনা (হার্ডকভার)

মীর মোস্তাক আহমেদ রবি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রশিক্ষিত নৌ- কমান্ডো। সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে পরপর দুইবার নির্বাচিত। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদের বিশেষ ভালোলাগা রয়েছে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি। সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের এই সন্তান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৪ সালের ২১ জানুয়ারি। মা মেহেরুন নেসা। বাবা আলহাজ্ব মীর এশরাক আলী ইসু মিয়াও ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সাদা মরহুম পণ্ডিত মীর ওয়াজেদ আলী।
'৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় থেকেই তিনি ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রথম নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। কর্মজীবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক, সৌদিআরব রয়েল কমিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক, পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁও-এর নিরাপত্তা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযোদ্ধা নেভাল কমান্ডো এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্র মীর তানজীর আহমেদ প্রলয় ও মীর ফাহমিদ আহমেদ স্বাধীন-এর পিতা। স্ত্রী রওশন আরা বেগম। পুত্রবধূ সাদিয়া সানজানা মিমু ও ফারাহ সামস। দাদুভাই মীর শেহমান ইয়ার্দান ও দাদুনি শেহজাদী মেহরুন। একাত্তরের রণাঙ্গনের স্মৃতি নিয়ে লিখেছেন অপর গ্রন্থ চেতনায় একাত্তর।